কাঁচা আমের কিছু উপকারী গুণ
কাঁচা কিংবা পাকা উভয় আমই শরীরের জন্য উপকারী ৷ কাঁচা আম বা আমের রসে প্রচুর পটাশিয়াম থাকে বলে তা প্রচণ্ড গরমেও শরীর ঠান্ডা রাখতে সহায়তা করে। কাঁচা আমে উপকারী ভিটামিন সি ও ম্যাগনেশিয়াম থাকে। আসুন জেনে নিই কাঁচা আমের আরও কিছু উপকারী গুণের কথা।
কাঁচা কিংবা পাকা উভয় আমই শরীরের জন্য উপকারী ৷ কাঁচা আম বা আমের রসে প্রচুর পটাশিয়াম থাকে বলে তা প্রচণ্ড গরমেও শরীর ঠান্ডা রাখতে সহায়তা করে। কাঁচা আমে উপকারী ভিটামিন সি ও ম্যাগনেশিয়াম থাকে। আসুন জেনে নিই কাঁচা আমের আরও কিছু উপকারী গুণের কথা।
রক্তের সমস্যা দূর করতে
কাঁচা আমে প্রচুর আয়রন বা লৌহ থাকে বলে এটি রক্তস্বল্পতা সমস্যা সমাধানে বেশ কার্যকরী ভুমিকা রাখতে পারে।
বুক জ্বালাপোড়া দূর করতে
বুক জ্বালাপোড়া বা অম্লতার সমস্যায় যারা ভুগছেন তাদের জন্য কাঁচা আম উপকার বয়ে আনতে পারে। এজন্য অম্লতার সমস্যা কমাতে কাঁচা আমের এক টুকরো মুখে দেওয়া যেতে পারে।
বমি ভাব দূর করতে
অনেকেরই বিশেষ করে গর্ভবতী মহিলাদের সকালে খুম থেকে উঠলেই বমি বমি ভাব হয়। তাদের এই সমস্যা দূর করতেও সাহায্য করতে পারে কাঁচা আম।
দুপুরের ঝিমুনি দূর করতে
গরমের দুপুরে খাওয়ার পর সাধারনত কিছুটা ঝিমুনি ভাব দেখা দেয়। কাঁচা আমে রয়েছে প্রচুর শক্তি তাই দুপুরের খাওয়ার পরে কয়েক টুকরা কাঁচা আম খেলে ঝিমুনি ভাব দূর হতে সাহায্য করতে পারে।
ওজন কমাতে কাঁচা আম
শরীরের জন্য কাচা আমের কোনো ক্ষতিকর দিক নেই বললেই চলে। কাঁচা আমে পাকা মিষ্টি আমের চেয়ে চিনি কম থাকে যা ওজন কমাতে সাহায্য করে। এছাড়া যারা শরীরের বাড়তি ক্যালরি খরচ করতে চান, তাঁদের জন্য কাঁচা আম আদর্শ ফল হতে পারে এই মৌসুমে ।
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে কাঁচা আম
খাদ্য হজমে কাঁচা আমের ভুমিকা রয়েছে। অন্ত্রকে পরিষ্কার রাখতে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি পেতে কাঁচা আম সাহায্য করতে পারে। এতে গ্যালিক অ্যাসিড থাকায় তা হজম-প্রক্রিয়াকে গতিশীল করে৷ কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে আম টুকরো করে কেটে লবণ মাখিয়ে মধুসহযোগে খেলে উপকার পাওয়া যায়।
লিভার বা যকৃতের সমস্যা দূর করতে
যকৃতের রোগ নিরাময়ের প্রাকৃতিক বন্ধু হতে পারে কাঁচা আম। কয়েক টুকরো কাঁচা আম চিবানো হলে পিত্তরস বৃদ্ধি পায়। এতে যকৃতের স্বাস্থ্য ভালো হয় এবং অন্ত্রের জীবাণু সংক্রমণ দূর হয়।
ডায়াবেটিস প্রতিরোধে
কাঁচা আমে চিনি কম থাকে। তাই যারা ডায়াবেটিসের রোগী তারা কাঁচা আম খেতে পারেন। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণেও কাঁচা আমের ভুমিকা রয়েছে।
দাঁতের রোগ প্রতিরোধে কাঁচা আম
শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় ভিটামিন সি যোগাতে কাঁচা আম বিশেষ ভুমিকা পালন করতে পারে। স্কার্ভি ও মাড়ির রক্ত পড়া রোধে কাঁচা আম উপকারী। এছাড়া এটি নিশ্বাসের দুর্গন্ধ ও দাঁতের ক্ষয় রোধেও সহায়তা করে।
বাজারে এখন সস্তায় প্রচুর কাঁচা আম পাওয়া যাচ্ছে। তাই কাঁচা আমের শরবতে প্রাণটাকে শীতল আর শরীরটাকে চাঙা করার সুবর্ণ সুযোগ। তবে অতিরিক্ত পরিমাণে কাঁচা আম খেলে ডায়রিয়া হওয়ার আশঙ্কা থাকে ৷ তাই এ ব্যাপারে সাবধান থাকা উচিত।