কালিজিরার বিভিন্ন স্বাস্থ্যকর গুণাগুণ
নামে কালো হলেও কালিজিরা জগতের জন্য আলোস্বরূপ। এটি শরীরের জন্য খুব জরুরি। এতে শরীরের রোগ-জীবাণু ধ্বংসকারী উপাদান রয়েছে । তাই কালিজিরাকে শুধু খাবার না বলে পথ্য বলাই ভালো। আসুন জেনে নিই এর বিভিন্ন স্বাস্থ্যকর ও উপকারী দিক সমূহ।
নামে কালো হলেও কালিজিরা জগতের জন্য আলোস্বরূপ। এটি শরীরের জন্য খুব জরুরি। এতে শরীরের রোগ-জীবাণু ধ্বংসকারী উপাদান রয়েছে । তাই কালিজিরাকে শুধু খাবার না বলে পথ্য বলাই ভালো। আসুন জেনে নিই এর বিভিন্ন স্বাস্থ্যকর ও উপকারী দিক সমূহ।
কালিজিরার উপকারিতা:
স্মরণ শক্তি বৃদ্ধিতে:
কালিজিরা মেধার বিকাশের জন্য খুবই উপকারী। এটি খেলে আমাদের দেহে রক্ত সঞ্চালন সঠিকমতো হয়। এর মধ্যে “থায়মোকুইনন” নামক এক ধরনের উপাদান থাকে যা মস্তিষ্কের টিস্যুগুলোকে তেজস্ক্রিয়তা থেকে রক্ষা করে। তাছাড়া এটি মস্তিস্কের রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধির মাধ্যমে স্মরণ শক্তিকেও বাড়িয়ে তুলতে ভুমিকা রাখে।
সর্দি-কাশি সারাতে:
কালিজিরার সঙ্গে মধু ও তুলসী পাতার রস মিশিয়ে খেলে সর্দি-কাশি, শরীরের ব্যথা ও জ্বর, নিরাময়ে কাজ করে। এছাড়া দ্রুত উপকার পেতে বুকে ও পিঠে কালিজিরার তেল মালিশ করতে পারেন।
শ্বাসকষ্ট বা হাঁপানি সারাতে:
হাঁপানী বা শ্বাসকষ্ট জনিত রোগীদের জন্য এটি খুবই উপকারী। তাই যারা শ্বাস কষ্টজনিত সমস্যায় ভুগেন তারা নিয়মিত খাবারের সাথে কালিজিরার ভর্তা রাখতে পারেন।
মায়ের বুকের দুধ বৃদ্ধিতে:
অনেক বাচ্চারা বুকের দুধ পর্যাপ্ত পরিমাণে পায়না তাদের জন্য এটি একটি মহৌষধ ।সমস্যাটি সমাধানে দুগ্ধদানকারী মায়েরা ভাতের সঙ্গে কালিজিরা ভর্তা করে খেতে পারেন। সন্তান প্রসবের পর কাঁচা কালিজিরা পিষে খেলে শিশু বেশি পরিমাণে দুধ পাবে।
ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রনে:
কালিজিরার তেল রক্তের শর্করার মাত্রা কমিয়ে দেয়। এটি নিম্ন রক্তচাপকে বৃদ্ধি ও উচ্চ রক্তচাপকে হ্রাস করতেও সাহায্য করে। তাছাড়া এটি শরীরের কোলেস্টেরল এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।ফলে প্রেসারের রোগীরা নিয়মিত কালিজিরার তেল খেলে উপকার পেতে পারেন।
ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রণে:
ডায়াবেটিক রোগীদের জন্যও এটি খুবই উপকারী। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে কালিজিরা খেলে রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকবে যা ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রণে খুবই সহায়ক।
ত্বকের সজীবতা বজায় রাখতেঃ
সজীবতা বজায় সহ ত্বকের গঠনের উন্নতির জন্য কালিজিরা খুবই উপকারী। এতে “লিনোলেইক” ও "লিনোলেনিক” নামের দরকারি ফ্যাটি এসিড থাকে যা ত্বককে সূর্যের তাপের প্রখরতা থেকে রক্ষা করে এবং তারুণ্যকে ধরে রাখে।
বাতের ব্যথা দূরীকরণে:
ব্যথার স্থানে কাঁচা হলুদের রসের সাথে সমপরিমাণ কালিজিরার তেল মিশিয়ে মালিশ করলে অনেক উপকার পাওয়া যায়।
কতিপয় সতর্কতা:
- গর্ভাবস্থায় কালিজিরা গ্রহণ না করাই ভালো।
- কালিজিরা রক্তের ঘনত্ব কমিয়ে আনে। ফলে কোন বড় ধরনের সার্জারির আগে এটি না খাওয়া উচিত।
কালিজিরার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা আশ্চর্যজনক ও অতুলণীয়। এর রস বা তেলের মধ্যে গুনাগুন গুলো বিদ্যমান। তাই নিয়মিত এর ব্যবহার ও সেবনের মাধ্যমে বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি আমরা শরীরের নানা প্রকার অসুখ-বিসুখ থেকেও মুক্ত থাকতে পারি।