বয়সের ছাপ দূর করবে যে খাবার
নিজেকে সুন্দর দেখানো, কে না চায়।কিন্তু বয়স ধরে রাখা দায়। বয়সের কারণে নারী ও পুরুষদের মুখে বিভিন্ন ধরনের বলিরেখা দেখা দেয়। বলিরেখার ফলে মুখের সৌন্দর্য নষ্ট হয়ে লাবণ্য কমে যায়, যা অনেকের জন্য বিব্রতকর। কারণ বিশেষ করে নারী একটু বয়স লুকাতে পছন্দ করেন।
যারা মুখের বলিরেখায় নিয়ে দুচিন্তায় আছেন তাদের জন্য রয়েছে সহজ সমাধান।
আসুন জেনে নেই খাবার কীভাবে বয়সের বলিরেখা কমায় ও রোগ-প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।
দই
বলিরেখা , ব্রণ কমাতে ও রোগ-প্রতিরোধ করতে দইয়ের জুড়ি নেই।দইয়ের মধ্যে রয়েছে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়ারোধী উপাদান।যা রোগ-প্রতিরোধ পদ্ধতি নিয়ন্ত্রণ করে। প্রদাহরোধ করে বলিরেখা ও ব্রণ কমাতে সাহায্য করে।
মাছ
বলিরেখা কমাতে মাছ খাওয়া যেতে পারে।বলিরেখা, ব্রণ কমাতে ও রোগ-প্রতিরোধ স্যামন, সারদিন মাছ খেলে বেশ উপকার পাওয়া যায়। এগুলো ত্বক পুনর্গঠন ও ত্বকের বলিরেখা কমাতে সাহায্য করে।
অলিভওয়েল
অলিভওয়েলের মধ্যে ওমেগা তিন ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে। পাশাপাশি রয়েছে আরো ভিটামিন ও পুষ্টি। আর এক্সট্রা ভারজিন অলিভ ওয়েলে (একধরনের অলিভওয়েল) রয়েছে ওলিক অ্যাসিড। এটি ত্বক আর্দ্র রাখে এবং বলিরেখা কমায়।
হলুদ
সুস্থ ও সুন্দর ত্বক ধরে রাখতে হলুদ বিশেষ ভূমিকা পালন করে।হলুদে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান, যা স্বাস্থ্যকর ত্বক তৈরিতে হলুদ সাহায্য করে।
অলিভওয়েল
অলিভওয়েলের মধ্যে ওমেগা তিন ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে। পাশাপাশি রয়েছে আরো ভিটামিন ও পুষ্টি। আর এক্সট্রা ভারজিন অলিভ ওয়েলে (একধরনের অলিভওয়েল) রয়েছে ওলিক অ্যাসিড। এটি ত্বক আর্দ্র রাখে এবং বলিরেখা কমায়।
হলুদ
সুস্থ ও সুন্দর ত্বক ধরে রাখতে হলুদ বিশেষ ভূমিকা পালন করে।হলুদে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান, যা স্বাস্থ্যকর ত্বক তৈরিতে হলুদ সাহায্য করে।
ডালিম:
ডালিমে খুব উচ্চ মাত্রায় ভিটামিন এবং পলিফেনল রয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে ট্যানিন, ফ্ল্যাভোনয়েড এবং অ্যান্থোসায়ানিন, যা বয়সের ছাপ ও বলিরেখা দূর করে।
তরমুজ:
আপনারা ইতিমধ্যেই এটি আশা করেছিলেন – সরাসরি রেফ্রিজারেটর থেকে বের করা ঠান্ডা ও রিফ্রেশিং এই ফলের চেয়ে ভাল ফল আর কী হবে। এই ফলটি যেমন রিফ্রেশমেন্ট দেয়, তেমনি এটি ফাইবার এবং পানিতে সমৃদ্ধ। এতে 92% পানি রয়েছে। কথায় আছে, “যখন কেউ তরমুজের স্বাদ নেয় তখন তারা জানে ফেরেশতারা কী খায়।” এই লাল, রসালো ফলে শুধু পানি নয়, ভিটামিন C, B6, B1 এবং লাইকোপেন (ক্যারোটিনয়েড) এর গুণাগুণ রয়েছে যা ত্বকের গঠন এবং স্বাস্থ্যর সামগ্রিক উন্নতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
টমেটো:
উজ্জ্বল, লাল, রসালো টমেটো শুধু স্বাদেই নয়, ত্বকের স্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টিগুণে ভরপুর। এতে থাকা সেলেনিয়াম, একটি শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা ভিটামিন ই এবং সি এর সাথে একসাথে কাজ করে। সেলেনিয়াম ইমিউন সিস্টেম, ক্যান্সার এবং সূর্যের ক্ষতিকর রশ্নির বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে।
টমেটোতে উচ্চ মাত্রার লাইকোপিনও থাকে, যা আরেকটি যৌগ যা ত্বকের সূর্যের ক্ষতি প্রতিরোধ করে। রান্না করা টমেটোতে লাইকোপেন আরো বেশি মাত্রায় থাকে।
কমলা বা হলুদ রঙের খাবার:
আম:
সব ফলের ‘রাজা’, সবগুলোর মধ্যে সবচেয়ে সুস্বাদু, আমাদের প্রিয় আম। ভিটামিন সি, এ, বি6, কে, ই, পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং কপার ছাড়াও এগুলিতে পলিফেনল নামক একটি প্রাকৃতিক রাসায়নিক রয়েছে। যদিও আমের খোসা ও বীজ এর ঘনত্ব সবচেয়ে বেশি। গবেষণা অনুসারে, পলিফেনল ক্যান্সার কমাতে সাহায্য করে যার মধ্যে রয়েছে সার্ভিকাল, কোলন, ত্বক এবং স্তন ক্যান্সার। তাই এই আমের মৌসুমে এর স্বাদের পাশাপাশি এর স্বাস্থ্য গুনাগুন গুলোও উপভোগ করুন।
আনারস:
এই টক মিষ্টি ফলটি ভিটামিন সি এবং ব্রোমেলাইনের মতো শক্তিশালী উপাদানে ভরপুর- আপনার উজ্জ্বলতার জন্য যা প্রয়োজন। এর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ভিটামিন সি কোলাজেন উত্পাদন করতে সাহায্য করে এবং ত্বকের ক্ষত নিরাময় প্রক্রিয়াগুলিকে দ্রুত করবে। লাল নাক, দাগযুক্ত গাল, এবং বিরক্তিকর লাল ব্রনগুলোকে বাই বলুন ১ কাপ আনারস আপনার খাদ্যতালিকায় যুক্ত করে।
হলুদ:
হলুদের থাকা কারকিউমিন আপনার শুধু ত্বক উজ্জ্বলই করবেই না আমাদের সারাদিনের কাজের ক্লান্তি দূর করবে। এটি হাঁটুর ব্যাথা দূর করা থেকে শুরু করে চেহারার ভাঁজ পরাও দূর করে
গাজর:
গাজরে রয়েছে উচ্চ মাত্রার ভিটামিন এ এবং সি, যা ত্বকের প্রাকৃতিক কোলাজেন রক্ষা করতে সাহায্য করে। গাজরে ক্যারোটিনয়েড এবং অন্যান্য অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরিও গুন রয়েছে, ত্বকের ফোলাভাব, সূর্যের ক্ষতি এবং বার্ধক্যের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য এর জুড়ি নেই।
মিষ্টি কুমড়া:
কুমড়ায় প্রচুর পরিমাণে পটাসিয়াম, ভিটামিন এ এবং ভিটামিন ই রয়েছে—সবই আপনার ত্বকের জন্য ভালো
পেঁপে:
পেঁপে একটি সুস্বাদু গ্রীষ্মমন্ডলীয় ফল এবং ভিটামিন সি, বিটা ক্যারোটিন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে পূর্ণ।পেঁপে প্রাকৃতিক এক্সফোলিয়েন্ট হিসাবে কাজ করে, যা সুন্দর ত্বক মেইনটেইন করার একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ।
কমলা:
খুব সহজে, হাতের নাগালে পেয়ে যাবেন এই ফল। প্রায় স্কিনকেয়ার প্রোডাক্ট ভিটামিন সি দিয়ে তৈরি করা হয়। আপনার দেহের ন্যাচারাল কোলাজেন প্রডাকশনে এবং কালচে ভাব দুর করতে এই ফলের জুড়ি নেই। এছাড়াও এর অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ও অ্যান্টি ইনফ্লাম্যাটরি গুনাগুন ব্রণ নিয়ন্ত্রণ করতে, ফ্রি র্যাডিক্যালের বিরুদ্ধে লড়াই করতে এবং আপনাকে সামগ্রিকভাবে উজ্জ্বল ত্বক দিতে সাহায্য করে।
সবুজ রঙের খাবার:
পেয়ারা:
এই সুস্বাদু পেয়ারা আপনার গায়ের রং উন্নত করে, UV রশ্নি থেকে সুরক্ষা দেয়, এছাড়া এর অ্যান্টি-এজিং গুন রয়েছে ও এটি ব্রণ এবং কালো দাগের চিকিৎসা করে।
পুদিনা:
পুদিনা আপনার ত্বককে উজ্জ্বল করে, চেহারায় সতেজ ভাব আনে, এছাড়াও ত্বক টানটান রাখতে এবং ব্রণ দূর করতে সাহায্য করে।
এছাড়াও ত্বক ভালো রাখতে প্রতিদিন রাত ১২ টায় ঘুম এবং পরিমানমত পানি পান করতে হবে, নইলে স্ট্রেস এবং অপর্যাপ্ত ঘুমের কারনে ত্বকের কোলাজন প্রোডাকশন কমে গিয়ে ত্বক নষ্ট হয়ে যাবে।