আপেল সিডার ভিনেগার এর স্বাস্থ্য উপকারিতা
এটি Natural acid,এটি খাওয়ার মাধ্যমে আপনি আপনার acidity, গ্যাস্, পেট ফোলাভাব, গ্যাস্ট্রিক , পেট ফাঁপা ইত্যাদি সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন। Antacid জাতীয় ঔষধ খাওয়ার প্রবনতাও কমে যাবে। তবে অবশ্য ই নিয়ম মেনে খেতে হবে। অতিরিক্ত খাওয়া যাবে না।
আপেল সিডার ভিনেগার কি?
অন্যান্য ভিনেগারের মতই আপেল সাইডার ভিনেগারও এক প্রকার ভিনেগার, যা আপেল থেকে প্রস্তুত করা হয়।
এতে রয়েছে ৫ -৬%শতাংশ অ্যাসিডিটি।( Acetic acid)
প্রকারভেদঃ
আপেল সিডার ভিনেগারের কয়েক ধরনের হয়।এর মধ্যে
আপেল সিডার ভিনেগার উইথ মাদার সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় এবং উপকারী।
আপেল সিডার ভিনেগার উইথ মাদার কিঃ
যখন apple cider vinegar প্রস্তুতির ফার্মেন্টেশন প্রক্রিয়াটির মেয়াদকাল আরো বাড়ানো হয়, তখন এতে বেশকিছু উপকারী এনজাইম, ইস্ট এবং এসিটিক এসিড ব্যাকটেরিয়া রয়ে যায়। এই উপকারী উপাদানসমূহকে একত্রে “মাদার” বলা হয়।
আপেল সিডার ভিনেগার উইথ মাদার দেখতে ঘোলাটে ও তুলনামূলকভাবে ঘন হয়ে থাকে।
উপকারীতাঃ
ওজন কমাতে এবং স্বাস্থ্য সুরক্ষায় আপেল সিডার ভিনেগার খাওয়ার উপকারিতা বলে শেষ করা যাবে না।
১. ওজন কমাতে BMR বা Basal Metabolic Rate কে বাড়ায়। ফলে দুত ওজন কমে।
২. পেটের জমে থাকা মেদ কমায়,
৩. ত্বক সুন্দর ও ব্রন কমাতে এটি কাজ করে। Anti aging properties আছে এতে।
৪. চুলের মজবুতকরে ও চুল পড়া বন্ধ করে।চুলকে চকচকে করে।
৫. পেটের মধ্যে Acidic environment কে Optimised করতে সাহায্য করে।
৬. খালি চোখে যেসব জীবাণু দেখা যায় না,খাবারে মধ্যের সেইসব জীবাণু ধংসে এটি খুবই জরুরি।
৭. মাদার সাধারণত প্রোবায়োটিক জাতীয় বেশকিছু উপকারী ব্যাকটেরিয়া এবং এনজাইমের সমষ্টি, যা আমাদের খাদ্যকণাকে ভাঙতে সাহায্য করে।
৮. ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে করে,বিশেষ করে Type-2. ইনসুলিন সেনসিটিভিট অনেক বেশি বাড়ায়,ফলেস্বাভাবিকভাবেই রক্তে শর্করার মাত্রা কমতে থাকে।
অ্যাপল সিডার ভিনেগার খাবার ক্ষেত্রে সতর্কতাঃ
১. কোনো কিছু সাথে না মিশিয়ে ডিরেক্ট খাওয়া যাবে না। ঠান্ডা বা গরম যেকোনো পানি হলেই হবে।
২. এক দিনে ২ বারের বেশি ড্রিংক হিসেবে পান করা যাবে না। এর সাথে আদা কুচি,একটু লেবু দিলে খেতে ভালোই লাগে।
৩. একটি গ্লাসে এক চা চামচ(৫ ml) নিয়ে সেটা গুলে খেতে পারবেন।এর বেশি অ্যাপল সিডার ভিনেগার মিক্স করে খাওয়া যাবে না।
অনেক সময়,যাদের গন্ধ খুবই বাজে লাগে তারা First এ ১/২( half teaspoon) করে শুরু করবেন।
৪. বেশি বেশি বা খুব ঘন ঘন পান করা যাবে না, করলে তাতে দাঁতের এনামেল ক্ষয় হতে পারে।অনেকে Straw বাবহার করেন।
৫. দীর্ঘ সময় ধরে অ্যাপেল সিডার ভিনেগার না খেয়ে মাঝে মধ্যে বিরতি দিয়ে পান করলে ভাল।