ডেংগুর প্রকোপ থেকে সুস্থ থাকতে জেনে নিন খুঁটিনাটি
ডেঙ্গু একটি মশাবাহিত রোগ। এর ভাইরাস রক্তের মাধ্যমে শরীরে গেলে রোগ জাঁকিয়ে বসে। প্রতিবছরই বর্ষাকালে বা তার পরের সময়ে মশাবাহিত রোগের প্রকোপ দেখা যায় রাজ্যে।
আগের চেয়ে কিছুটা এর প্রভাব কমে গেলেও শহর থেকে শহরতলি নানা জায়গায় প্রতি বছর অনেক মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। খানিকটা জ্ঞান অর্জন করলেই অনেকাংশে এই রোগ থেকে বাঁচা সম্ভব হবে। একনজরে তাই জেনে নেওয়া যাক ডেঙ্গু নিয়ে নানা খুঁটিনাটি তথ্য।
ডেঙ্গুর উপসর্গ
ডেঙ্গু জ্বর হলে গাঁটে, মাংসপেশীতে ব্যথা হয়। মাথাব্যথা, ক্লান্তি অনুভব, গায়ে ফুসকুড়ি বেরনো ইত্যাদি উপসর্গ দেখা দেয়। রক্তে প্লেটলেট হুহু করে নামতে থাকে। সঠিক সময়ে ধরা না পড়লে ডেঙ্গুতে মৃত্যু হতে পারে।
ডেঙ্গুর ওষুধ
ডেঙ্গু ভাইরাসের আক্রমণে হয়। ফলে নির্দিষ্ট কোনও অ্যান্টিবায়োটিক বা ওষুধ নেই। যে ধরনের সমস্যা হয়, সেটি দেখে চিকিৎসকেরা ওষুধ দেন। ডেঙ্গু হলে সেরে উঠতে অন্তত এক থেকে দুই সপ্তাহ লেগে যেতে পারে।
শিশুরা সাবধান
দশ বছরের নিচে শিশুদের ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। পেটের নিচের অংশে ব্যথা হয়, হ্যামারেজ বা রক্তপাতও হতে পারে। ডেঙ্গুর বাহক এডিস মশার হাত থেকে বাঁচতে পারলেই এই রোগ কাছে ঘেঁষতে পারবে না আপনার।
টার্গেট সকলেই
ডেঙ্গুর মশা সাধারণত সকালে কামড়ায়। এবং কনুঁইয়ের নিচে বা হাঁটুর নিচকে টার্গেট করে। শুধু শিশুরাই নয়, ডেঙ্গুতে সকলেই আক্রান্ত হতে পারেন। ফলে সবচেয়ে ভালো উপায় হয় পরিবেশ পরিচ্ছন্ন রাখা।
বিশ্রামের পরামর্শ
ডেঙ্গু হলে সাধারণত পুরোপুরি বিশ্রামের পরামর্শ দেওয়া হয়। পাশাপাশি অনেক পরিমাণে জল খেতে বলা হয়। বলা হয়, নিয়ম মেনে থাকলে ধীরে ধীরে এই রোগ থেকে রোগী সুস্থ হয়ে ওঠেন। তবে সময়ে রক্তপরীক্ষা অবশ্যই করাতে হবে। ডেঙ্গু হলে অনেক সময় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে আসে। ফলে অন্য রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়।
কী খাবেন কী খাবেন না
ডেঙ্গু হলে বাইরের জাঙ্ক ফুড, মশলা দেওয়া খাবার এগুলি এড়িয়ে চলুন। বাড়ির খাবার খান। সঙ্গে লেবু, পেঁপে, হার্বাল চা, ফলের রস, প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খান।
শরীরচর্চা করতে হবে
ডেঙ্গু সেরে ওঠার পরে সময়টিও বেশ গুরুত্বপূর্ণ। সেইসময়ে নিয়মিত শরীরচর্চা করলে ভালো হয়। যোগব্যায়াম করতে হবে। এছাড়া ডায়েটে মিনারেল, প্রোটিন ও ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবার রাখতে হবে।