বাড়িতে করোনা রোগীর সেবার পরামর্শ
বাড়িতে করোনা রোগীর সেবা ও পরামর্শ দিতে দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকায় লিখেছেন ডা. হিমেল ঘোষ। আপনাদের জন্য লেখাটি নিচে তুলে ধরা হলো।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণে শতকরা ৮০-৮৫ ভাগ ক্ষেত্রে মৃদু উপসর্গ দেখা দেয়। এক্ষেত্রে আক্রান্ত ব্যক্তি বাড়িতে কোয়াে কত্রে আক্রান্ত ব্যক্তি দেয়। য়। ন। রেন্টিনে থেকেই যথাযথ বিশ্রাম ও চিকিৎসায় সম্পূর্ন সুস্থ হয়ে উঠেন। এই পরিস্থিতিতে বাড়িতে রোগীর যত্নের দায়িত্ব নিতে হয় পরিবারের কাউকে। পরিবারের সেই সদস্য হবেন সবচেয়ে সুস্থ, অপেক্ষাকৃত তরুন ও সংক্রমণের ঝুঁকি কম, এমন একজন। এছাড়া রোগীর সেবা দেয়ার সময় থাকতে হবে সতর্ক। মনে রাখতে হবে, একটু অসাবধান হলেই সেবাদানকারীও সংক্রমিত হতে পারেন এবং তার মাধ্যমে বাড়ির অন্যরাও আক্রান্ত হতে পারেন। কাজেই কিছু বিষয় অবশ্যই মেনে চলতে হবে।
১. আক্রান্ত ব্যক্তি ঠিকমত বিশ্রাম নিচ্ছেন কিনা বা প্রচুর পরিমানে পানি কিংবা নিয়মিত পুষ্টিকর খাবার খাচ্ছেন কিনা, সেদিকে খেয়াল রাখুন।
২. সংক্রমিত ব্যক্তি যে ঘরে আছেন, ওই ঘরে ঢুকতে হলে অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার করুন। মাস্কে বা মুখে যেন হাত না লাগে। সংক্রমিত ব্যক্তির ঘর থেকে বের হওয়ার সময় মাস্কটি ঢাকনাযুক্ত নির্দিষ্ট পাত্রে ফেলুন। বারবার তার ঘরে যাওয়ার দরকার নেই। গেলেও অন্তত তিন ফুট দুরত্বে থাকুন। তবে সারাদিনে ও রাতে ফোনে বা ভিডিও কলে রোগীর সঙ্গে যোগাযোগ রাখুন।
৩. সংক্রমিত ব্যক্তির ব্যবহার করা কাপড়চোপড় বা অন্য জিনিসের সংস্পর্শে এলে অবশ্যই সাবান-পানি, হ্যান্ড স্যানিটাইজার বা অ্যালকোহল বেসড হ্যান্ড রাব দিয়ে ভাল করে হাত পরিষ্কার করুন। এছাড়া অন্যান্য সময়ও, যেমন খাবার প্রস্তুত করার আগে-পরে, খাবার খাওয়ার আগে, টয়লেটের পর ভালো করে হাত ধুতে হবে।
৪. আক্রান্ত ব্যক্তির জন্য আলাদা থালাবাসন, বিছানার চাদর, তোয়ালে ইত্যাদি ব্যবহার করুন। খাবার নির্দিষ্ট সময়ে দরজার কাছে রেখে আসুন। খাওয়া শেষে গ্লাভস পরে জিনিসপত্র নিয়ে এসে সাবান-পানি দিয়ে ধুয়ে রাখুন। দিনে একবার বা দুবার মুখে মাস্ক আর গ্লাভস পড়ে জীবাণুনাশক তরল দিয়ে আক্রান্ত ব্যক্তির ঘর মুছে দিন।
৫. আক্রান্ত ব্যক্তির বর্জ্য, টিস্যু ইত্যাদি রোগী নিজে একটি পলিথিনে ভরে বিনে রাখবে। দিনে একবার আপনি গ্লাভস পড়ে বিনটি বাইরে নিয়ে এসে বর্জ্যগুলো পুড়িয়ে ফেলুন অথবা বন্ধ বিনে ফেলুন।
৬. করোনা রোগী বারবার স্পর্শ করে এমন পৃষ্ঠ বা জিনিস, যেমন দরজার হাতল, সুইচ ইত্যাদি নিয়মিত পরিষ্কার ও জীবাণুনাশক দিয়ে জীবাণুমুক্ত করুন।
৭. রোগীর শ্বাসপ্রশ্বাসের হার খেয়াল করুন। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে বা শ্বাসকষ্ট হলে দ্রুত নিকটস্থ করোনা হাসপাতালে যোগাযোগ করে জরুরী চিকিৎসাসেবার ব্যবস্থা করুন। ৎসায় সম্পূর্ন সুস্থ হয়ে উঠেন।