রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকলে করনীয়
ডঃ রওশন আরা, মেডিসিন ও বাতরোগ বিশেষজ্ঞ, গ্রীন লাইফ মেডিকেল কলেজ
ডায়াবেটিস, কিডনি জটিলতা, হৃদরোগ আছে এমন বেক্তি আর যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম, তারা করোনাভাইরাসের সংক্রমণের ঝুঁকিতে রয়েছে বলে জানিয়েছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এদের মধ্যে যাঁরা রিউমাটোলজিক্যাল ডিজিজ বা নানা ধরনের বাতরোগে আক্রান্ত, তাঁদের অনিশ্চয়তা একটু বেশি। কেননা তারা নানা ধরনের ইমিউনো মাডুলেডিং বা ডিজিজ মডিফাইং ওষধ সেবন করেন, যা দীর্ঘ মেয়াদে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমায়। একারণে অনেকের মনেই হয়তো প্রশ্ন জেগেছে করোনা এই সংকক্রমণের সময় কি তাহলে এসব ওষধ সেবন করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
- করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে ব্যক্তিগত ও সামষ্টিক সতর্কতা সবচেয়ে জরুরি। যাঁরা জানেন তাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম, ইমিউনিটি প্রভাবিত করে এমন ওষধ সেবন করেন, তারা এ সময় কিছুতেই বাড়ির বাইরে যাবেন না। বার বার হাত ধোয়া, হাতে মুখে হাত না দেওয়া, বাড়িঘর পরিচ্ছন্ন রাখা, পারস্পারিক দূরত্ব বজায় রাখা, মাস্ক ব্যাবহার করা ইত্যদি স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে মেনে চলতে হবে।
- এই সময়ে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া চিকিৎসকের চেম্বার বা হাসপাতালে যাবেন না। প্রয়োজনে টেলি-মেডিসিনের সাহায্য নিন। জরুরি অসুস্থতায় দূরে না গিয়ে নিকটস্থ কারও পরামর্শ নিন। গণপরিবহন এড়িয়ে চলুন।
- নিয়মিত রোগ নিয়ন্ত্রণকারী ওষধ বন্ধ করার দরকার নেই এতে ঝুঁকি আরও বাড়বে। জ্বর বা কাশি হলে আপনার চিকিৎসক এ ব্যাপারে সঠিক পরামর্শ দেবেন। নিজে নিজে সিধান্ত নেবেন না।
- প্রথম দিকে করোনার সংক্রমণ সন্দেহ হলে জ্বর বা ব্যাথার জন্য প্যারাসিটামলই শ্রেয়। যেকোনো ব্যাথানাশক গ্রহণ থেকে বিরত থাকুন।
- বাতব্যাথার রোগিরা অনেকেই বাইরের সেন্টারে বা নিজ বাড়িতে ফিজিও থেরাপি নেন। এ সময়ে বাইরে যাওয়া থেকে যেমন বিরত থাকবেন, তেমনি বাড়িতে বাইরের কাউকে এনেও থেরাপি দেওয়া থেকে বিরত থাকতে পারেন। নিজ নিজ শেখা ব্যায়ামগুরো, হাঁটা ইত্যাদি চালিয়ে যান।
- সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও সংবাদপত্রে অনেক ওষুধের নাম আসছে, যার একটি বাতরোগে ব্যবহৃত হয়। মনে রাখবেন করোনা সংক্রমনের সুনির্দিষ্ট চিকিৎসা এখনো উদ্ভাবিত হয়নি। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে যে চিকিৎসা দেওয়া হয় তা উপসর্গভিত্তিক ও তাতেই রোগটা সেরে ওঠেন।