সঠিকভাবে ধুবো হাত রোগবালাই দূরে থাক
পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকলে বহু রোগ থেকে দূরে থাকা যায়। আর এজন্য দরকার শুধু একটু সদিচ্ছা। আমরা খাওয়ার আগে হাত ধোয়ার গুরুত্ব দিলেও কিভাবে ধুতে হবে তা অনেকেই জানিনা। আসুন জেনে নিই হাত ধোয়ার সঠিক পদ্ধতি এবং বিভিন্ন অসুখ- বিসুখ থেকে বেঁচে থাকার উপায়।
পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকলে বহু রোগ থেকে দূরে থাকা যায়। আর এজন্য দরকার শুধু একটু সদিচ্ছা। আমরা খাওয়ার আগে হাত ধোয়ার গুরুত্ব দিলেও কিভাবে ধুতে হবে তা অনেকেই জানিনা। আসুন জেনে নিই হাত ধোয়ার সঠিক পদ্ধতি এবং বিভিন্ন অসুখ- বিসুখ থেকে বেঁচে থাকার উপায়।
নিয়মিত হাত ধোয়ার উপকারিতা:
হাত ধোয়া অবশ্যই জরুরি একটি কাজ। নিয়মিত হাত ধোয়ার অভ্যাস পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বা ব্যক্তিগত স্বাস্থ্য চর্চার একটি প্রকৃষ্ট উদাহরণ। সময়মতো ও নিয়ম অনুযায়ী হাত ধোয়ার অভ্যাস গড়ে তুললে আমাশয়, টাইফয়েড, জন্ডিস, ডায়রিয়া, কৃমিরোগসহ আরও অনেক জীবাণু দ্বারা সংক্রমণের সম্ভাবনা অনেকাংশে কমে যায়।
কোন কোন সময় হাত ধোয়া অতি আবশ্যক?
১। খাদ্য প্রস্তুতির আগে এবং পরে। ২। খাদ্যগ্রহণের আগে। ৩। শৌচাগার ব্যবহারের পর। ৪। শিশুদের ডায়াপার পরিবর্তন করার পর। ৫। ময়লা-আবর্জনা ধরার পর, যেমন রান্নাঘরের ময়লার বালতি বা অপরিষ্কার জুতা । ৬। পশুপাখি ধরার পর। ৭। হাত দিয়ে মুখ ঢেকে হাঁচি-কাশি দেওয়ার পর। ৮। অসুস্থ ব্যক্তিকে সেবা করার আগে ও পরে। ৯। চোখে কনটাক্ট লেন্স ব্যবহারের আগে।
হাত ধোয়ার ধারাবাহিক ও সঠিক পদ্ধতিঃ
পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা আমাদের জীবনের একটি অঙ্গ। খাবারের শুরুতে যেমন হাত ধোয়া দরকার, তেমন খাবার বানাতে বা পরিবেশনের সময়ও হাত ধোয়া জরুরী। খাবার শেষে হাত ধুয়ে মোছার কাপরটাও পরিষ্কার থাকাটাও গুরুত্বপুর্ণ । অর্থাৎ প্রতিটা ক্ষেত্রে হাত ধোয়া, হাত পরিষ্কার রাখা সুস্বাস্থ্যের অন্যতম পূর্বশর্ত। এই একটি অভ্যাস আমাদের স্বাস্থ্যের উপর বিরাট প্রভাব রাখতে পারে। তাই এ বিষয়ে সবার ভালোভাবে জানা ও ঐ অনুযায়ী চলার চেষ্টা করা উচিত।