মেনোপজের পর নারীদের ওজন বাড়ার কারণ
মেনোপজ একটি স্বাভাবিক শারীরিক প্রক্রিয়া। সাধারণত ৪৫ থেকে ৫৫ বছর, কখনও ৪০-৪২ বছর বয়সে হতে নারীদের পিরিয়ড বন্ধ হয়ে আসার ঘটনা ঘটে। এটি ই “মেনোপজ”।
মেনোপজের সময় একজন মহিলার গড়ে ওজন ২-৩ কখন ও ৫ কেজিও বেড়ে যায়। তবে, ব্যক্তিবিশেষে ওজন বাড়ার পরিমাপ ভিন্ন হয়।
ওজন বাড়ার কারনঃ
মেনোপজের সময় শরীরে কম ইস্ট্রোজেনের হরমোন তৈরি করে এবং ইস্ট্রোজেনের মাত্রা কম থাকায় শরীরে ফ্যাট জমে যা প্রধানত পেটের চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে এবং Muscle mass (মাংসপেশি) কমতে থাকে।
মেনোপজের সময় শরীরে বাপক পরিবর্তন দেখা যায়।
পরিবর্তন সমুহঃ
১. আকস্মিকভাবে শরীরে গরম অনুভূত হওয়া, (Hot Flush), বিশেষ করে রাতে।
২. রাতের বেলায় ঘাম হওয়া,
৩.ঘুম না হওয়া,
৪. Mood sewing
৫. Sedentary Lifestyle
৬. Unhealthy Food habit
৭. ওজন বেড়ে যাওয়া
৮. হাড় ক্ষয়,কোমরের বাথা
৯. দুশ্চিন্তা হওয়া( Stress)
১০. মনমরা ভাব,
১১. অবসাদ,
১২. Skin dryness, বলিরেখা পড়া,
১৩. চুল পড়ে যাওয়া ইত্যাদি।
কোন ধরণের খাবার খেতে হবে
১. রঙিন শাকসবজি ও ফলমূল
২. ফাইবার বা খাদ্যআঁশ সমৃদ্ধ সবজি ও শস্য
খুব কম পরিমানে খেতে হবে
১. হোয়াইট সুগার
২. লবন
৩. প্যাকেটজাত খাবার
৪. সিম্পল কার্বোহাইড্রোটেস
৫. বেকারি ফুড
৬. সম্প্রীক্ত ফ্যাট
৭. রেড মিট
৮. রিফাইন্ড কারবোহাইড্রেটেস বা শর্করা জাতীয় খাবার কম খেতে হবে
কোন গুলো বাদ দিতে হবে
১. অ্যালকোহল এটি ওজন বাড়াতে ভূমিকা রাখে তাই অ্যালকোহল বা মদ্যপান থেকে নিজেকে বিরত রাখতে হবে
২. মিষ্টি জাতীয় খাবার, অতিরিক্ত মিষ্টি দিয়ে বানানো বিস্কুট,হোয়াইট সুগার
৩. পেস্ট্রি জাতীয় খাবার, পেস্টি কেক বা মাখন
৪. তেলে ভাজা খাবার থেকে বিরত থাকতে হবে
৫. রেড মিট যেমন গরুর মাংসো, গরুর চর্বি, খাসির মাংসো, চিংড়ি মাছ ইত্যাদিতে হাই কোলেস্টেরল বিদ্যমান রয়েছে তাই এগুলো পরিহার করতে হবে
৬. ফাস্ট ফুড থেকে বিরত থাকা
কারন তেলে ভাজা খাবার গুলোতে হাই ক্যালোরি বিদ্যমান থাকে যা দ্রুত ওজন
গেইন করতে সাহায্য করে
মেনোপেজ এ নারীদের সুস্বাস্থ্যর জন্য করনীয়
১. ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা,
২. মেনোপজ হলে উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, ফেটি লিভার, ইতাদি এই রোগ গুলো শরীরে বাসা বেধে ছে কিনা সেইসম্পর্কে সঠিক ধারনা থাকতে হবে।,
৩. Fast food,চর্বিযুক্ত খাবার না খাওয়া,
৪. হৃৎপিণ্ড ও হাড়কে সুরক্ষা দিতে ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া।
৫. ওজন নিয়ন্ত্রণে রেখে এ সময় নারীদের শরীরে বাড়তি পুষ্টি,প্রোটিন ও আয়রনের চাহিদা পুরন করতে হবে।
৬. দুশ্চিন্তা মুক্ত (Stress free) থাকা।
৭. নিয়মিত কিছু ব্যায়াম করা।
৮. ধূমপান ও অ্যালকোহল পান বন্ধ করা।
৯. এ সময়ে প্রচুর পরিমাণ পানি পান করতে ভুলবেন না যেন। এটি হট ফ্লাসের (Hot Flush) কে কমাবে।
১০. বেশি রাত করে না ঘুমানো। অন্তত ৬ ঘন্টা ঘুমানো
১১. দিনে অন্তত ৪৫ মিনিট ব্যায়াম করা বা হাটা
১২. ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে এতে হাড় সুরক্ষিত থাকবে
১৩. বেশি পরিমানে রেফাইন্ড শর্করা গ্রহণ থেকে বিরত থাকতে হবে
১৪. অতিরিক্ত মিষ্টি দিয়ে বানানো খাবার