ঠান্ডায় একদিকের নাক বন্ধ থাকলে করনীয়
ঠান্ডায় একদিকের নাক বন্ধ থাকলে করনীয় সর্ম্পকে লেখাটি প্রথম আলো পত্রিকা থেকে নেয়া হয়েছে।
নাক কান গলা
আমার বয়স ২৪ বছর। আমার এক দিকের নাক সব সময় বন্ধ হয়ে থাকে। যখন আমি এক পাশে কাত হয়ে শুয়ে থাকি, তখন নিচের দিকের নাকটা বন্ধ থাকে। আবার যখন অন্য পাশে কাত হই, তখন বন্ধ হয়ে থাকা নাকটা ধীরে ধীরে ছেড়ে দেয়, অন্য নাকটা বন্ধ হতে শুরু করে। দাঁড়িয়ে থাকা বা চলাফেরার সময় এক পাশের নাক বন্ধ থাকে। আমার সর্দি–কাশি বা কফ কিছু নেই। একসময় টানা কয়েক দিন গরম পানিতে মেন্থল মিশিয়ে ভাপ নিয়েছি, তখন শ্বাস নিতে সমস্যা হয় না। ভাপ নেওয়া বন্ধ করলে আবার একটা নাক বন্ধ হয়ে যায়। এ অবস্থায় আমার করণীয় কী?
স্বাভাবিকভাবেই প্রত্যেক মানুষের নাকের এক দিক বন্ধ থাকতে পারে। সচরাচর আমরা এটা বুঝি না। কেবল মুখ বন্ধ করে শ্বাস নেওয়ার সময় এটা বোঝা যায়। ভালোভাবে বাতাস গ্রহণ করতে পারলে এটা কোনো সমস্যাই নয়। কিন্তু শোবার পর যদি গলা শুকিয়ে যায়, রাতে উঠে পানি খেতে হয়, শুকনা কাশি হয় কিংবা আপনি একসময় আপনার কণ্ঠস্বরের পরিবর্তন লক্ষ করেন, সে ক্ষেত্রে আপনি প্রতিদিন রাতে শোবার আগে কিছু কাজ করতে পারেন—গরম পানির ভাপ নিন (মেন্থল দিয়ে নয়), আর গরম পানি সামান্য ঠান্ডা করে তাতে খানিকটা লবণ মিশিয়ে নাক পরিষ্কার করে নিন। লবণ–পানি মিশ্রণের ঝামেলায় যেতে না চাইলে নরমাল স্যালাইনের ড্রপ দিয়ে নাক পরিষ্কার করতে পারেন, বাজারের প্রচলিত অন্যান্য ড্রপ ব্যবহার করবেন না।
পরামর্শ দিয়েছেন—অধ্যাপক ডা. এ এফ মহিউদ্দিন খান, সাবেক বিভাগীয় প্রধান, নাক কান গলা বিভাগ, ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল
মেডিসিন
আমার বয়স ২১। ওজন ৪৫ কেজি। ছোটবেলা থেকেই আমার পেটের সমস্যা। কখনো পাতলা বা নরম পায়খানা, কখনো কোষ্ঠকাঠিন্য। কিন্তু স্বাভাবিক পায়খানা খুব কম দিনই হয়। বিশেষ করে পুরো শীতকালে অকারণে প্রায়ই দিনে পেটে মোচড় দিয়ে পাতলা পায়খানা হয়। তবে পেটে তেমন ব্যথা নেই। পায়ের পাতা ও হাতের তালু ঠান্ডা হয়ে যায়। যেসব খাবার খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য হয়, সেসব খাবার এখন খেলেও পেটে মোচড় দিয়ে পাতলা পায়খানা হয়, আর অন্য ঋতুতে কোষ্ঠকাঠিন্য হয়। আমি কীভাবে সমস্যা থেকে মুক্ত থাকতে পারি?
শুনে মনে হচ্ছে আপনি আইবিএসে ভুগছেন। যেসব খাবারে সমস্যা হয়, সেগুলো এড়িয়ে চলুন। বুঝতে হলে একটা ফুড ডায়েরি বানাতে পারেন। সেখানে কবে কী খেলেন তা লিপিবদ্ধ থাকবে। টেনশন ও উদ্বেগ থেকে মুক্ত থাকুন। মানসিক চাপ কমান। রাতে পর্যাপ্ত ঘুম দরকার। অল্প অল্প করে খাবেন, একবারে নয়। খেয়ে উঠেই বেশি পানি পান করবেন না বা শোবেন না। দরকার হলে কিছু ওষুধ খেতে হবে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শে।
আমার বয়স ২১ বছর। দুই বছর ধরে কোমরে ব্যথা। চিকিৎসক আমাকে নিওরোবিয়ন ইনজেকশন, প্রেগাবালিন, ডমপেরিডন, বেকলো ইত্যাদি ওষুধ দিয়েছেন। কিন্তু ইদানীং আমার পেটে গ্যাস হচ্ছে, প্রস্রাব একটু ঝাঁজালো হয় এবং কোমরব্যথা বাড়তে থাকে। কী করলে আমি সমাধান পাব?
কোমর ব্যথার কারণটি কী পাওয়া গিয়েছিল তা লিখেননি। কোমরের এক্স-রে বা এমআরআই করেছেন কি না, মেরুদণ্ডে কোনো সমস্যা ছিল কি না, ব্যথা বিশ্রামে বেশি না হাঁটলে বাড়ে ইত্যাদি জানা দরকার। বেশি ব্যথানাশক খেলে গ্যাস হতেই পারে। আবার প্রস্রাবের সংক্রমণেও কিন্তু প্রস্রাবে ঝাঁজ ও কোমরব্যথা হতে পারে। রোগটি সঠিকভাবে নির্ণয় না করে ওষুধ খাওয়ার চেয়ে আগে সমস্যাটি ধরার চেষ্টা করতে হবে। প্রয়োজনে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে হবে।
পরামর্শ দিয়েছেন—ডা. আ ফ ম হেলালউদ্দিন, মেডিসিন বিশেষজ্ঞ, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ, ঢাকা