করোনার ভিন্নতর উপসর্গ
করোনার উপসর্গ নিয়ে দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকায় লিখেছেন গ্রীনলাইফ মেডিকেল কলেজের মেডিসিন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. রাশেদুল হাসান। আপনাদের জন্য লেখাটি নিচে তুলে ধরা হলো।
করোনাভাইরাসের সংক্রমনের সাধারন উপসর্গগুলো হলো জ্বর, কাশি, গলাব্যথা, শ্বাসকষ্ট। কিন্তু এগুলো ছাড়াও কোনো কোনো রোগীর ক্ষেত্রে আরো কিছু উপসর্গ দেখা দিচ্ছে। কাজেই এ সময় কোনো প্রকার শারীরিক অসুস্থতাকেই অবহেলা বা উপেক্ষা করা চলবে না। আসুন করোনা রোগীদের মধ্যে পাওয়া ভিন্ন কিছু উপসর্গ সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
-
শরীর ম্যাজ ম্যাজ করা বা ভীষণ দূর্বলতা হতে পারে প্রথম লক্ষন। সাধারন দৈনন্দিন কাজকর্ম যেমন টয়লেটে যাওয়া বা জামাকাপড় পাল্টাতে গিয়েও গিয়েও যদি খুব ক্লান্ত বা হয়রান লাগে, অথবা কোনো কারণ ছাড়াই যদি হঠাৎ অতিরিক্ত দুর্বল লাগে তাহলে আগে থেকেই সাবধান হোন।
-
মাথাব্যথা, মাথাঘোরা বা হতবিহ্বল অবস্থাও হতে পারে করোনার উপসর্গ। বিশেষ করে পরিবারের বয়স্ক মানুষটিকে একটু অস্বাভাবিক মনে হলেই সতর্ক হোন।
-
পাতলা পায়খানা বা ডায়রিয়া, বমি বা বমিভাব একটা গুরুত্বপূর্ণ উপসর্গ হয়ে উঠছে দিন দিন। যাদও চীনে করোনায় সংক্রমণে এই উপসর্গ কম দেখা গেছে।
-
স্রেফ ঘ্রানশক্তি লোপ পাওয়া বা নাকে কোন ঘন্ধ না পাওয়া একটি লক্ষন। অনেকের খাবারের স্বাদেও সমস্যা হতে পারে।
-
অনেক রোগীর শরীরে করোনাভাইরাস শীত শীত ভাব বা কনকনে ভাব নিয়েই দেখা দিতে পারে।
-
চোখে প্রদাহ বা কনজাংটিভাইটিস একটি লক্ষন হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে এখন।
-
করোনাভাইরাস রক্ত জমাটবাঁধার প্রক্রিয়াকে ক্ষতিগ্রস্থ করতে পারে বলে অনেক রোগীর ক্ষেত্রে বুকব্যাথা, হার্ট অ্যাটাক, স্টোকের মতো ঘটনাও ঘটতে পারে।
বিজ্ঞানীর প্রতিদিনই করোনা ভাইরাস সর্ম্পকে নতুন কিছু জানতে পারছেন। আবার এটাও ঠিক যে ওপারের অনেক লক্ষণই অন্যান্য ফ্লু ও শরীরের অসুস্থতাজনিত কারণে প্রকাশ পেতে পারে। তাই এ ধরনের উপসর্গ দেখা দিলেই আতঙ্কিত না হয়ে সতর্ক হতে হবে। সন্দেহ হলে পরীক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে।
মনে রাখতে হবে, করোনা পরীক্ষার ফলাফল নেগেটিভ মানেই সংক্রমণ নেই, একথা নিশ্চিত করে বলা যাবে না। অনেক সময় 3-4 দফা পরীক্ষার পর পজিটিভ আসতে পারে। আবার 25 শতাংশ রোগীর কোনো উপসর্গ না-ও থাকতে পারে। তাই উপসর্গ থাকুক বা না থাকুক, এ সময় বাড়িতে থাকাই শ্রেয়। একই সঙ্গে স্বাস্থ্যাবিধিও মেনে চলতে হবে।